তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দেশীয় স্টার্টআপগুলোর সৃজনশীল সমাধানে উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে। আজ রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরী করার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানে টেকসই উদ্ভাবনী ইকো- সিস্টেম তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, তরুণ উদ্যোাক্তাদের সক্ষমতা সহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল অপারচুনিটি ফর স্টার্টআপ ইন আইসিটি ডিভিশন’ শীর্ষক কর্মশালায় জুনাইদ আহমেদ পলক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্টার্টআপ নীতিমালা তৈরীতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন এ কথা উল্লেখ করে বলেন, তরুণ ও যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল এবং তাদের দক্ষতা অর্জনে স্টার্টআপ সম্পর্কে ধারণা দিতে এবং এর প্রচারে গণ্যমাধ্যমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
এ বিষযে যত চর্চা করা যাবে, ততই তরুণ ও যুব সমাজ স্টার্টআপ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
‘২০২১’ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে হলে স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসময় আইসিটি বিভাগ এবং দেশীয় স্টার্টআপ হাংরিনাকি ডট.কম একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব এবং হাংরি নাকি ডট কমের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাহী উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিকাশ- এর প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, স্টার্ট আপ বিশেষজ্ঞ সাইফ কামাল, শাহানা শারমিন ও এন্টারপ্রেইনার রুবাবা দৌলা মতিন বক্তৃতা করেন। কামাল কাদির বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবনে দেশীয় স্টার্টআপ যে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এবং সমাধানের পথ সম্পর্কে আরো আলোচনা প্রয়োজন।
এ কর্মশালায় দেশের প্রায় ১২০টি স্টার্টআপ, উদ্যোক্তা এবং শিল্প নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
পরে পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ উপলক্ষ্যে ই-কার্ড ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।সূত্র- বাসস