তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী উপজেলা সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাড়সকের বিটিসি নামক স্থানে ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী উদ্যোগে ধর্ষকদের বিচার ও ফাঁসি দাবী করে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিটিসি’র চাম্পাগঞ্জ আহসান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চাম্পাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসি দাবী করে বক্তব্য রাখেন, পীরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ, কাবিলপুর ইউপি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লাজু, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কবির, চাম্পাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা খানম, চাম্পাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গীরেন্দ্র নাথ কানু, ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ স্বপন ও পলাশবাড়ী উপজেলা যুবলীগ নেতা সরকার মোহাম্মদ মেজবাহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, কাবিলপুর মৌজাধীন আখিরা নদীর বাঁধে ছোট কুটিরে নানী আছিয়া বেগমের সাথে বসবাসরত মৃত দিনমজুর মুনছুর আলীর মেয়ে ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মঞ্জিলা আকতার আঁখি (১০) গণধর্ষণের শিকার হয়। মা সাহেরা বেগম ঢাকায় ঝ্রি-এর কাজ করার সুবাদে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের গভীর রাতে ওই কুড়ে ঘরের বেড়া কেটে কাবিলপুর ইউপি’র আজমপুর গ্রামের তেলামুর ছেলে দুই সন্তানের বাবা পাওয়ার টিলার চালক লম্পট হানিফ মিয়া (২৭), কাশেমের ছেলে ভ্যান চালক জসিম মিয়া (২২), নিজামের ছেলে সুমন মিয়া (২০) ও শহিদুলের এসএসসি ফল প্রত্যাশিত ছেলে সুবজ (১৮) ভিকটিমকে জোর করে পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে এবং ওইসব দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে। পরদিন ২৭ মার্চ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য দুপুরে ধর্ষক হানিফ ও তার লোকজন ভিকটিম ও তার নানী আছিয়া বেগমকে মারধর ও বাড়ী-ঘর থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। পরে ভিকটিমের চিকিৎসা শেষে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের নানা দুলা মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ মার্চ কাবিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি ও পরিষদের সদস্যদের সহযোগিতায় বড় আলমপুর ইউনিয়নের গড়েরবাজার বিলপাড়া এলাকার জনৈক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে ধর্ষক জসিমকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। বাকী আসামী পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে থানা পুলিশ পরিদর্শক জানান।