1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে কিশোরগাড়ীর কাশিয়াবাড়ী শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটিগঠন উপলে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবী মাসব্যাপী দেশ গড়তে ‘জুলাই পদযাত্রা’ নামে কর্মসূচি উপলক্ষে গাইবান্ধায় সমাবেশ -উপস্থিত থাকবেন এনসিপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পলাশবাড়ী পৌরসভায় যুক্ত হলো মাটি খননকারী একটি নতুন আধুনিক যন্ত্র তারাগঞ্জে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা পলাশবাড়ী পৌরসভার বাজেট ঘোষণা: অর্ধেকেরও কমে নেমে এলো বাজেট! পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন: তদন্তে মিলছে না অস্তিত্ব! তারাগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে অনিয়ম বসুন্ধরা শুভসংঘের কমিটি গঠন উপলক্ষে পলাশবাড়ীতে আলোচনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের সমাবেশে ঐতিহ্য ও ভূমির অধিকার রক্ষার দাবী

মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অন্যতম কারণ ফেসবুক: তারানা

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদের উত্থানের অন্যতম কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে চিহ্নিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আগামী ৩০ মার্চ ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ বৈঠকে বসবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই বৈঠকে বেশি কিছু বিষয় তুলে ধরা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তারানা। তিনি বলেন, ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠকে কী কী বিষয় তোলা হবে সে বিষয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠকে বসেছেন তারা।

গত অর্ধযুগে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। নিজের ভাব ছাড়াও তথ্য আদানপ্রদান আর বিশেষ করে স্মার্টফোনের যুগে নানা ঘটনা ও ভিডিও আপলোড করা সহজ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বন্ধু, পরিচিতজনদের মধ্যে যোগাযোগ ও জনমত গঠনের মাধ্যম হয়ে গেছে ফেসবুক। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে উগ্রবাদীরা। তারা নানা পেজ খুলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের পাশাপাশি নতুনদেরকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন গবেষনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

এই অবস্থায় ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠকে বসে নিরাপত্তার বিষয়ে নানা ইস্যু তুলে ধরতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কাছে আইনশৃঙ্খলার গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে এমন ক্ষেত্রে এবং তদন্ত চলছে এমন মামলার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমাধান চাইব।’ তিনি বলেন, ‘ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর নিজস্ব পলিসি (নীতিমালা) আছে। আমরা তাদের অনুরোধ করব, সেই পলিসিগুলোতে তারা আলাদাভাবে যেন কিছু ক্লজ (নীতি) অন্তর্ভুক্ত করে দেশভিত্তিক।’

ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশের জন্য একটি ডেস্ক চাওয়া হবে জানিয়ে তারানা বলেন, ‘ফেসবুক তাদের অফিসগুলোতে প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। অফিসগুলোতে অভিযোগ গ্রহণ বা সমাধান করে না। সেজন্য তারা ফোকাল পয়েন্টের ওপর গুরুত্বারোপ করে। আমরা সুনির্দিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট চেয়েছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে। তাদের সুনির্দিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট কারা হবেন সে নামটি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করব। তারা যখনই অভিযোগ করবেন সেটাকে যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।’

টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাথে আমাদের তেমন যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টার কারণে এখন আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কাছে সরকার ৬৪টি অনুরোধ পাঠিয়েছিল। সেসময় তারা সাড়া দিয়েছিল ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০১৫-২০১৬ সালে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার পর সুফল পাওয়া যায়। এ সময় সরকার ২০৩টি অনুরোধ করার পর ১১৪টির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আর চলতি বছরের মার্চ মাসে ৪৬টি অভিযোগ দিয়ে ৩৬টির সাড়া মিলেছে।

তারানা হালিম বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আমাদের কাছে কোনটি মানহানিকর, বিষয়টি বুঝতে হলে তাদের পলিসিতে আলাদাভেবে দেশভিত্তিক ক্লজ অন্তর্ভুক্ত করা খুবই প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে দেশভিত্তিক ডেস্কও চাইব, যেখানে অনুবাদক থাকবে তারা। এর এনালিসিস করে দেখবে, এটির ইনফ্যাক্ট কি হতে পারে ওই দেশের ওপর।’

একাউন্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নীতিমালা রয়েছে এবং সেটা তাদেরকে বিশ্বজুড়ে বাস্তবায়ন করতে হবে জানিয়ে তারানা বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরে তাদের কাছ থেকে যদি ইতিবাচক সাড়া পাই তাহলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের যে ব্যাপক বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সরকারের প্রস্তাবে ফেসবুক সাড়া না দিলে সামাজিক এ যোগাযোগের মাধ্যমটি বন্ধ করা হবে না বলেও জানান তারানা। তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়। আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব।’

জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুকে যে নীতিমালা আছে, সেখানেই কিন্তু একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য সুস্পস্টভাবে বলা আছে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ডকুমেন্টগুলোই তারা গ্রহণ করবেন। ওইভাবেই একাউন্ট খোলার বিধিমালাটা রয়েছে।’

ফেসবুকের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগই সবচেয়ে বেশি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর প্রতি অপমানমূলকের অভিযোগই সবচেয়ে বেশি। তারপরে ধর্মীয় উস্কানি এবং জঙ্গিবাদের অভিযোগ বেশি আসে।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft