বাংলাদেশকে যারা অবজ্ঞা করে, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সরে গিয়েছিল। তাদের অভিযোগ কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এরপর আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম,এ সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের। এর কাজ শুরু হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। পাশাপাশি যারা কথায় কথায় বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো, সম্মানের সঙ্গে, আত্মমর্যাদার সঙ্গে মাথা উচুঁ করে। সে লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছি। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন একদিনের বিষয় নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে ধাপে ধাপে এ অর্জনের পথে আমরা যাত্রা করেছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে যারা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিল, তারাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। তাদের ষড়যন্ত্রে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এরপর শুরু হলো সংবিধান লঙ্ঘন ও অবৈধ ক্ষমতা গ্রহণের পালা। ভিন্ন ধারায় নিয়ে যাওয়া হলো বাংলাদেশকে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা ভূলুণ্ঠিত হলো। ইতিহাসের বিকৃতি শুরু হলো। দেশে নামমাত্র গণতন্ত্র আসলো, যখন প্রতি রাতে থাকতো কারফিউ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। আগামী দিনে যারা দেশের জন্য কাজ করবে, আমি আশা করছি, তারা আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দরিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’
এর আগে দেশের ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।