জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেল হাট সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে অবিস্থিত একটি বাড়ি ও উত্তর কাট্টলি এলাকার ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত আরও একটি বাড়ি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সোমবার বিকেল চারটা থেকে সোয়াত, বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলসহ পুলিশের দেড়শ’র উপর সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতি শিক্ষা নিকেতনের পাশে অবস্থিত এবং উত্তর কাট্টলি এলাকায় অবস্থিত অন্য বাড়িটি মহাসড়ক দুই কিলোমিটার দূরে ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত।
পুলিশ সূত্র জানায়, ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত পাঁচতলা বাড়িটি ঋশি সাহার মালিকানাধীন। বাড়িটিতে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রমতে, সীতাকুণ্ডের নামারবাজার এলাকার সাধনকুটির নামে বাড়ির জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক দুই জঙ্গির মধ্যে মহিলা জঙ্গি পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, আকবর শাহ থানা এলাকায় তাদের আরও সঙ্গীরা অবস্থান করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যম বলেন, ‘এখানে দুটি জঙ্গি আস্তানা আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাতে এসেছি।আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি।’
এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ রোডের চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার বিকেল তিনটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০ ঘণ্টার এ অভিযানে ২০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।